চট্রগ্রাম -১৪ নির্বাচনী ভাবনায় জনগন,কোন্দল আওয়ামী লীগে, এলডিপি নিয়ে বিএনপিতে অস্বস্তি, জাতীয় পার্টির নাই অস্তিত্ব,ইসলামী ফ্রন্ট মজবুত অবস্হানে

চট্রগাম -১৪ চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক এ আসনের প্রতিটি ইউনিউনে দৈনিক আলোচিত কন্ঠ প্রতিনিধির প্রতিবেদনে উঠে আসে নতুন সাম্ভাবনা গত ১০ ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারীর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী,এলডিপি ও বিএনপি অংশ না নিলেও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আলহাজ্ব ছৈয়দ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দি,জাতীয় পার্টি একে এম বাদশা মিঞা প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন এ সময়ে জাতীয় পার্টি পার্থী বাছাইয়ের পুর্বে পার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন।এদিকে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম ও আলহাজ্ব ছৈয়দ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দি মুখোমুখি অবস্হানে ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দি তাঁর অবস্হানে অনড় ভুমিকায় থাকাতে অনেকটা আতংকে ছিলেন আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় ভাবে নির্বাচন ভয়কট করার সিদ্ধান্তে আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দির উপর মেঘের কালো ছায়া নেমে আসে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সম্মানে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়াতে ভাগ্যের দুয়ার খুলে যায় আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সাহেবের বিনা প্রতিদন্দিতায় বিনা ভোটে বিনা খষ্টে ৫ জানুয়ারীর আগেই এম পি নির্বাচিত হয়ে গেলেন। ইতিমধ্যে ৪ বৎসরে নীজেরা শক্ত ঘাটি গড়ে তুল্লেও কোন্দল এড়াতে পারেনী আওয়ামী লীগে কোন্দল রয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা ও আসছে জনগন ও রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের মুখ থেকে। চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক এলাকার মাঠি ও মানুষের পরম বন্ধু হিসাবে পরিচিত আলহাজ্ব ড: কর্নেল অলী আহমদ বীর বিক্রম দীর্ঘদিনের ভাব মুর্তি দল ত্যাগের কারনে ভাটা পড়ে গেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক স্হানীয় নেতৃবৃন্দ। এর পরও বিশাল বোট ব্যংক আলহাজ্ব ড: কর্নেল অলী আহমদ বীর বিক্রম এর রয়েছে বলে বিএনপি তে বড় ধরনের অস্বস্হি নেমে আসছে।বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে যোগা করে দেখা যায় তাদের মধ্যেও একাধিক প্রার্থীর নাম আসছে এবং সাংগঠনিক কর্ম কান্ডে নেতা কর্মীদের এগিয়ে নিয়ে যেথে না পারায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি। এদিকে চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক এ নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় পার্টির কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি।সাংগঠনিক অবস্হান নাই বল্লেই চলে। জাতীয় পার্টির একে এম বাদশা মিঞা তিনি জাতীয় পার্টির নেতা হিসাবে পরিচিত বলেই প্রার্থীতার আশা করেন নির্বাচন আসলে। সব মিলিয়ে মজবুত অবস্হানে আছে সুন্নী রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। প্রতিটি ইউনিয়নে তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী সেনার কর্মকান্ড চোখে পড়ার মত। তাদের মধ্যে নেই কোন কোন্দল চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক এলাকার প্রায় সুন্নী এলাকায় আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দির পরিচিতি রয়েছে বেশ। ইসলামী ফ্রন্ট, যুব সেনা,ছাত্র সেনা নেতা কর্মীদের সাথে যোগা যোগ করে দেখা যায় তারা তাদের দলের আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দি কে একক প্রার্থী হিসাবে মনে করেন। এবং সকলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অঘাট সম্মান রাখেন। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর মধ্যে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবার ও মনোনয়ন চাইবেন দল থেকে। এদিকে আওমী লীগ চট্রগ্রাম দক্ষিন জেলার সভাপতি সাবেক সংসদ আলহাজ্ব ইন্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহমদ সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ মফিজুর রহমান। আলহাজ্ব ইন্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন আহমদ এর ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ ও জাফান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা: নাসির উদ্দিন জয়। এলডিপি ড:কর্নেল অলী আহমদ বীর বিক্রম। বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডা:হোসেন জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই অধ্যাপক ডা: মহসিন জিল্লুর করিম। উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম। সধারন সম্পাক সিরাজুল ইসলাম। ছাত্র দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এম,এ,হাশেম রাজু। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে আলহাজ্ব ছৈয়দ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দি মনোয়ন প্রত্যাশা করছেন।জাতীয় পার্টির একে এম বাদশা মিঞা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার কথা জানান। স্হানীয় সাধারন জনগন এখন পরিবর্তন চায় বলে জানান জীবনে অনেক দলের অনেক প্রার্থী কে আমরা ভোট দিয়েছি তবে এখন তা আর হবে না।আগামী ১১ তম সংসদ নির্বাচনে জনগনের ভোটের অধিকার সরকার নিশ্চত করতে পারলে জনগন স্বতস্পুর্ত ভোট দিতে পারলে তারা তাদের বাচাইকৃত সৎ ও যোগ্য আদর্শবান প্রার্থী কে জয়ী আনার কথা ভাবছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.