কোচিংবাজ শিক্ষকরা দুদকের জালে
রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠের পশ্চিম পাশে ১৮০ মধ্য বাসাবোতে কোচিং করান
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সুবীর কুমার সাহা। গতকাল সোমবারও
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন অন্যান্য ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা চলায় শুধু
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন এই শিক্ষক।
এ ছাড়া ১৪৫ মধ্য বাসাবোতে পড়ান একই স্কুলের বাসাবো শাখার ডে শিফটের সহকারী প্রধান শিক্ষক এনামুল হক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের কোচিং করান। একই ভবনে পড়ান ইংরেজির শিক্ষক মেজবাহুল ইসলাম, কমার্সের মোহন লাল ঢালী ও আবুল খায়ের। ১৭৮ মধ্য বাসাবোতে পড়ান বাসুদেব সমাদ্দার এবং ১৬৬ মধ্য বাসাবোতে পড়ান রুহুল আমিন-২ ও মো. কামরুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক শিক্ষার্থীই একই ভবনে একাধিক শিক্ষকের কাছেও কোচিং করছে।
প্রত্যেক শিক্ষক কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থী পড়ান। কোনো কোনো শিক্ষক ৩০০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীও পড়ান। অভিযোগ রয়েছে, স্কুলের শিক্ষকের কাছে কোচিং না করলে স্কুলে নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। নম্বর কম দেওয়া হয় পরীক্ষায়।
কোচিংবাজ ওই শিক্ষকদের কেউ কেউ গভর্নিং বডির কাউকে কাউকে টাকার বিনিময়ে হাত করে রেখেছেন, যাতে কোনো চাপ না আসে। কোচিং বাণিজ্যের মাধ্যমে ওই শিক্ষকরা এরই মধ্যে বহু কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
মতিঝিল
মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সুবীর কুমার সাহা গত রাতে কালের কণ্ঠকে
বলেন, ‘আমি আগে পড়াতাম। এখন আর পড়াই না। তার পরও যে আমার নাম কিভাবে
দুদকের তালিকায় এলো, তা বুঝতে পারছি না। আমি গণিতের শিক্ষক তাই সবার আগে
আমার নামই আসে। অনেক শিক্ষক আছেন যাঁরা কোনো দিন কোচিং করাননি, তাঁদের
নামও দুদকের তালিকায় আছে। ’
একই স্কুলের শিক্ষক মেজবাহুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাইভেট পড়ানো দুই-তিন শ বছরের ইতিহাস। যে শিক্ষক ক্লাসে ভালো পড়ান, সেই শিক্ষকের কাছেই সবাই প্রাইভেট পড়তে চায়। আমি বড়জোর ২০টা বাচ্চা পড়াতাম। সেটা দুই মাস আগে বাদ দিয়ে দিয়েছি। তার পরও অভিভাবকরা অনুরোধ করেন। আসলে ভালো ফলের জন্য প্রাইভেটের দরকার আ
এ ছাড়া ১৪৫ মধ্য বাসাবোতে পড়ান একই স্কুলের বাসাবো শাখার ডে শিফটের সহকারী প্রধান শিক্ষক এনামুল হক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের কোচিং করান। একই ভবনে পড়ান ইংরেজির শিক্ষক মেজবাহুল ইসলাম, কমার্সের মোহন লাল ঢালী ও আবুল খায়ের। ১৭৮ মধ্য বাসাবোতে পড়ান বাসুদেব সমাদ্দার এবং ১৬৬ মধ্য বাসাবোতে পড়ান রুহুল আমিন-২ ও মো. কামরুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক শিক্ষার্থীই একই ভবনে একাধিক শিক্ষকের কাছেও কোচিং করছে।
প্রত্যেক শিক্ষক কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থী পড়ান। কোনো কোনো শিক্ষক ৩০০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীও পড়ান। অভিযোগ রয়েছে, স্কুলের শিক্ষকের কাছে কোচিং না করলে স্কুলে নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। নম্বর কম দেওয়া হয় পরীক্ষায়।
কোচিংবাজ ওই শিক্ষকদের কেউ কেউ গভর্নিং বডির কাউকে কাউকে টাকার বিনিময়ে হাত করে রেখেছেন, যাতে কোনো চাপ না আসে। কোচিং বাণিজ্যের মাধ্যমে ওই শিক্ষকরা এরই মধ্যে বহু কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
একই স্কুলের শিক্ষক মেজবাহুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাইভেট পড়ানো দুই-তিন শ বছরের ইতিহাস। যে শিক্ষক ক্লাসে ভালো পড়ান, সেই শিক্ষকের কাছেই সবাই প্রাইভেট পড়তে চায়। আমি বড়জোর ২০টা বাচ্চা পড়াতাম। সেটা দুই মাস আগে বাদ দিয়ে দিয়েছি। তার পরও অভিভাবকরা অনুরোধ করেন। আসলে ভালো ফলের জন্য প্রাইভেটের দরকার আ


কোন মন্তব্য নেই