সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সরব




সওগাত ডেস্ক: 
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে এখন নানাভাবে তৎপর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তৎপরতাই বেশি চোখে পড়ছে।
মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন দলের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ছাড়াও আরো তিন-চারজন দলের মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে এ আসনে বিএনপি থেকে তিনজন, বিএনপি জোটের জামায়াতের একজন, জাতীয় পার্টির দু-একজন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একজন দলীয় মনোনয়নের জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। জাতীয় সংসদের ৯০ নম্বর নির্বাচনী এলাকা কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। গত চারটি নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাত আরা সাদেক। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শেখ আব্দুল ওহাব নির্বাচিত হন। এর আগে দুইবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ এস এইচ কে সাদেক দলের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। 

আওয়ামী লীগ : আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক। এ ছাড়া কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, দলের উপজেলা শাখার সদস্য সাধারণ বীমা করপোরেশনের পরিচালক শেখ আব্দুর রফিক মনোনয়ন পেতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। অন্যদিকে চিত্র প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিকের নাম নানাভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ নানাজনের আলোচনায় উঠেএসেছে। সামপ্রতিক সময়ে নিজ বাড়ি উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে এতিম শিশুদের কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের জানান, তাঁকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তাঁকে এখনো মাঠপর্যায়ে কাজ করতে দেখা না গেলেও গত ঈদ ও পূজায় কেশবপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপি : সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কেশবপুরে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলছিল। কিন্তু গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জয়লাভ করতে না পারায় দল কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। ঝিমিয়ে পড়া অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে একজন উঠতি বয়সী নেতাসহ তিনজন জোরেশোরে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক সাবেক ছাত্র ও যুবদল নেতা অমলেন্দু দাস অপু, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর আবু। তাঁরা তিনজনই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ আসন থেকে আবুল হোসেন আজাদ একবার দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করেছিলেন। মাঠপর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছে, এখানেও দলটির ভেতরে গ্রুপিং রয়েছে।
জাতীয় পার্টি : আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দুজন গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা গণসংযোগ করছেন। তাঁরা দুজনই মনোনয়ন পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
জামায়াত : বিএনপি জোটের শরিক জামায়াত দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে গোপনে তৎপরতা শুরু করেছে বলে দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি দাবি করেছে, জামায়াত মুক্তার আলীকে স্থানীয়ভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।
জাসদ : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অসীম কুমার ঘোষ দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করবেন। তিনি ইতিমধ্যেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে এ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করবেন।
 তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.