নামাযে নারী ও পুরুষের ভিন্নতা কি কি?.




বর্তমানে আমাদের কিছু সল্পজ্ঞানী, কুরয়ান, সহিহ হাদিস বিরোধীদের বলতে দেখা যায় যে, নারী পুরুষের নামাযের মাঝে কোন পার্থক্য নেই আর পার্থক্য এর বিষয়ে যে সব হাদীসগুলো পেশ করা হয় সব হাদীসই না কি দ্বয়ীফ! এখান থেকে একটি প্রশ্নের জন্ম নেয় তাহলে কি মতের অনুসারীগন ছাড়া বাকী সবাই যুগ যুগ ধরে ভূল করেছেন ? সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈ, তাবে তাবেঈ,আইম্মায়েকিরাম সহ কেউ কি এবিষয়টি অনুধাবন করেন নি? প্রকৃত কথা হচ্ছে হক্ব বাতিলের সংঘাত চিরন্তন -অন্যথায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর স্বর্ণযুগে তারকারাজীর ন্যায় উজ্জ্বল আদর্শবান সাহাবায়ে-কিরাম, তাবেঈ,তাবে তাবেঈ থেকে শত শত বছরের গবেষক, বিচক্ষণ ইমামদের সর্ব স্বীকৃত কোরআন হাদীসের আলোকে নারীদের নামায পদ্ধতিকে ইদানিং জন্ম নেয়া একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দল কিভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে পারে ? নামাযের মাঝে কি পার্থক্য আছে, তা বর্ণনা করার পূর্বে আমি উল্লেখ করবো শরীয়তের অন্য কোন বিধান এর মাঝেও কি নারী পুরুষের পার্থক্য আছে? না শুধু নামাযের মাঝে?
যেমন-
পুরুষ মহিলা উভয়ের উপরই হজ্জ ফরয কিন্তু মহিলাদের জন্য পথ খরচ ছাড়াও হজ্জের সফরে স্বামী বা মাহরাম পুরুষের উপস্থিতি শর্ত অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে যার কাছে পথ খরচ আছে তাকে হজ্ব করার নিদেশ দিয়েছেন [সূরা আলে ইমরান-৯৭]
ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য মাথা ঢাকা নিষেধ অথচ মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায়ও মাথা ঢেকে রাখা ফরয[মুসতাদরাকেহাকেম, হাদীস নং- ১৬৬৮]
ইহরাম খোলার সময় পুরুষ মাথা মুণ্ডাবে; কিন্তু মহিলাদের মাথা মুণ্ডানো নিষেধ
  হজ্জ পালনের সময় পুরুষ উচ্চ আওয়াজেতালবিয়া পাঠ করে; অথচ মহিলাদের জন্য নিম্ন আওয়াজে পড়া জরুরী
ইমাম খতীব পুরুষই হতে পারে মহিলারা হতেই পারে না
  আযান শুধু পুরুষই দেয়; মহিলাকে মুয়াজ্জিন বানানো জায়েয নয় 
ইকামত শুধু পুরুষই দেয়; মহিলা নয়
  পুরুষের জন্য জামাআত সুন্নতে মুয়াক্কাদা; অথচ মহিলাকে মসজিদ জামাআতের পরিবর্তে ঘরের ভেতরে নামায পড়ার হুকুম করা হয়েছে 
সতরের মাসয়ালায় পুরুষ মহিলার মাঝে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে
 ১০ নামাযে সতর্ক করার মত কোন ঘটনা ঘটলে সতর্ক করার জন্য কিংবা অবহিত করার জন্য পুরুষকে তাসবীহ পড়ার হুকুম করা হয়েছে অথচ মহিলাদের জন্য হুকুম হলতাসফীক তথা হাত দ্বারাশব্দ করে অবহিত করা [সহীহ বুখারী /৪০৩] 
১১ জুমার নামায শুধু পুরুষের উপর ফরয, মহিলার উপর নয় 
১২ মারা যাওয়ার পরও পুরুষের তিন কাপড় আর নারীর পাঁচ কাপড়
১৩ খলিফা নবী শুধু পুরুষই হতে পারে মহিলারা হতেই পারে না এছাড়াও অসংখ্য মাসয়ালা রয়েছে মানুষের জন্য নারী পুরুষের মাঝে শরয়ী দিক থেকে পার্থক্য হতে পারে কথা বুঝারজন্য এটাই যথেষ্ট এখন দেখুন হাদীস আসারের আলোকে নারী পুরুষের মাঝে নামাযের পার্থক্য সতর কেন্দ্রিক, অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব গোপনীয়তার মাধ্যমে মহিলারা সালাত আদায় করবে.আল্লাহ তাআলা বলেনতোমরা গৃহাভন্তরে অবস্থান করবে-মুর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না [সুরা আল আহযাব-৩৩].আব্দুল্লাহ বিন উমার (রা) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন- “যখন একজন মহিলা নামাজে বসে, তখন তার এক ঊরুর (জাং) উপর আরেকটি ঊরু রাখা উচিত এবং যখন সে সিজদাহ করে তখন তার পেটকে ঊরুর সাথে মিলিয়ে যথসম্ভব সংকুচিত হয়ে বসা উচিত আল্লাহ তায়ালা তাকে এই অবস্থায় দেখে এরশাদ করেন- হে আমার ফেরেশতারা তোমরা স্বাক্ষী থাকো যে, আমি তাকে ক্ষমা করেছি [বায়হাক্বী ২য় খন্ড- ২২৩পৃ:, ইদারা আল তালিফাত].

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত হুজুরে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেনমহিলাদের নিজকক্ষে নামায পড়া, বাড়িতে নামায পড়ার তুলনায় উত্তম; আর নির্জন অভ্যান্তরিন স্থানে নামায পড়া, নিজ কক্ষে নামায পড়া থেকে উত্তম [হাদীসটি সহীহ, আবু দাউদ /৩৮৩, মুসতাদরাকে হাকেম /৩২৮]হযরত আয়েশা (রা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেনঃ- “ওরনা বা চাদর ব্যতিত মহিলাদের নামায কবুল হবেনা [আবু দাউদ /৪২১, তিরমিজী /২১৫, মুসতাদরাকে হাকিম /৫১]

 হাকেম আবু আব্দিল্লাহ নিসাপুরী (রহমাতুল্লাহি লাই) স্বীয় কিতাব মুসতাদরাক লিল হাকেমে (/২৫১) বলেন মুসলিম (রহমাতুল্লাহি লাই) এর হাদীস গ্রহন করার শর্ত অনুযায়ী হাদীসটি সহীহ হাকেম (রহমাতুল্লাহি লাই) এর উক্ত মতকে ইমাম যাহাবী (রহমাতুল্লাহি লাই) সমর্থন করেছেন উল্লেখিতআয়াত হাদীস কথার উপর সুস্পষ্ট প্রমান বহন করে মহিলাদেরসব সময় পর্দার আড়ালেই থাকা প্রয়োজন আর নামায ইসলামের অন্যতম একটি বিধান সুতরাং তাহা অধিক পর্দায় হবে ইহাই বিবেকের দাবী.পুরুষেরা তাকবীরে তাহরীমার সময় কান পর্যন্ত হাত উঠাতে আর মহিলা হাত উঠাবে বুক বরাবরহযরত ওয়াইল বিন হুযার (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দরবারে হাজির হলাম, তখন তিনি আমাকে (অনেক কথার সাথে কথাও) বললেন, হে ওয়াইল যখন তুমি নামায শুরু করবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে, আর মহিলা হাত উঠাবে বুক বরাবর [আল মুজামুল যাওয়াইদ ৯ম খন্ড- ৩৭৪পৃ:, তাবারানী ২২/১৯], এই হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণ যোগ্য.নামাজ-এর রুকন বা পড়ার পদ্ধতিতে মহিলার পুরুষদের পার্থক্যচার ধরনের দলীলের আলোকে সংক্ষিপ্ত ভাবে পদ্ধতিগত এই পার্থক্য তুলে ধরা হলো 
হাদীস শরীফের আলোকে
  সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য কর্মের আলোকে
  তাবেয়ী ইমাম গনের ঐক্যমত্যের আলোকে 
চার ইমামের ঐক্যমত্যের আলোকেহাদীস শরীফের আলোকেঃ- নামাজী মহিলার সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বাধা দেওয়ার লক্ষে করণীয় কি ? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রসংগেবলেন: পুরুষদের জন্য হলো তাসবীহ বলা আর মহিলাদের জন্য হাতে আওয়াজ করা [সহীহ বুখারী /৪০৩]ইয়াযীদ ইবনে আবী হাবীব (রহমাতুল্লাহি লাই) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামাযরত দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন যখন সিজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে, কেননা মহিলারা ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয় [কিতাবুল মারাসিল-ইমাম আবু দাউদপৃঃ১১৭] প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়েখ শুয়াইব আরনাউত (রহমাতুল্লাহি লাই) হাদীসটির সুত্র সম্পর্কে বলেন, বণর্না কারী প্রত্যেক রাবী সর্ব্বোচ্চ গ্রহনযোগ্য রাবীদের অন্তর্ভুক্ত সুতরাং হাদীসটিসহীহ [তালীক আলা মারাসিলে আবী দাউদ পৃঃ ১১৭]উল্লেখ্যঃ- এই সব হাদীস মহিলা পুরুষদের নামায আদায়ের পদ্ধতিগত পার্থক্য ভিন্নতাকে নির্দেশ করে এমন আরো অনেক হাদীস রয়েছে পক্ষান্তরে এগুলোর সাথে বিরোধ পুর্ন একটি হাদীসও কোথাও পাওয়া যাবে না, যাতে বলা রয়েছে যে, পুরুষ মহিলার নামাযের পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য নেই.সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্যের আলোকেঃ- হযরত নাফেয় (রহমাতুল্লাহি লাই) ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ওনাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এরযামানায় মহিলাদের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন : “প্রথমত তারা চার পা হয়ে বসত অত:পর এক পক্ষ হয়ে বসার জন্য বলা হলআসারাত সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহীহ [জামেউল মাসানীদ-ইমাম আবু হানীফা (রহমাতুল্লাহি লাই) খঃ /৪০০]হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ওনাকে মহিলাদের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনমহিলারা বৈঠকে আংগুল সমুহ মিলিয়ে সমবেত ভাবে বসবে [এই হাদীসের সমস্ত রাবী সিকাহ- সুতারাং হাদীস সহীহ] [মুসান্নাফেইবনে আবী শাইবা-খঃ১/২৪২].

তাবেয়ী ইমামগনের ঐক্যমতের আলোকেঃ- হযরত হাসান বসরী হযরত কাতাদা (রহমাতুল্লাহি লাই) বলেন, মহিলারা যখন সিজদা করবে তখন তারা যথাসম্ভব জড়োসড়ো হয়ে থাকবে অঙ্গঁ প্রত্যঙ্গঁ ফাঁকা রেখে সিজদা দিবে না, যাতে কোমর উচু হয়ে না থাকে (সহীহ) [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক খঃ৩/১৩৭- ইবনে আবী শাইবা১/৪২].কুফাবাসীর ইমামঃ- ইবরাহীম নাখয়ী (রহমাতুল্লাহি লাই) বলেন মহিলারা বসা অবস্থায় এক পক্ষ হয়ে বসবে (সহীহ) [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা খঃ১/৪৩] 

 মক্কা বাসীদের ইমাম আতা ইবনে আবী রাবাহ (রহমাতুল্লাহি লাই) বর্ণনা করেন মহিলাযখন রুকুতে যাবে অত্যান্ত সংকোচিত ভাবে যাবে এবং হাতদ্বয় পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে (সহীহ) [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক /১৩৭].

সিরিয়াবাসীর ইমামঃ- খালেদ ইবনে লাজ্জাজ (রহমাতুল্লাহি লাই) তিনি বলেন মহিলাদের আদেশ করা হত, তারা যেন নামাযে দুই পা ডান দিক দিয়ে বের করে নিতম্বের উপর বসে পুরুষদের মত না বসে আবরনযোগ্য কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় মহিলাদেরকে এমনটি করতে হয় (হাসান
[মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা /৫০৫]
 মোট কথা তাবেয়ী-যুগে যারা ইমাম এবং ইসলামি বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনুসরনীয় তাদের মতামত থেকে প্রমানিত হল যে, মহিলা পুরুষদের নামাযের পদ্ধতি একই মনে করা সম্পুর্ন ভুল সাহাবী তাবেয়ীদের মতামতের সাথে এই ধারনার কোনই মিল নেই.মাযহাবের ইমামগণের ফিক্বহের আলোকেফিক্বহে হানাফীঃ- ইমাম আবু হানীফা (রহমাতুল্লাহি লাই) এর অন্যতম শাগরেদ ইমাম মুহাম্মদ (রহমাতুল্লাহি লাই) বলেন আমাদের নিকট মহিলাদের নামাযে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হল উভয় পা এক পাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মত এক পা দাঁড় করিয়ে রাখবে না [কিতাবুল আসার /৬০৯] 
[আরো দ্রষ্টব্যঃ- হিদায়াঃ /১০০-১১০-১১১, ফাতওয়ায়ে শামী /৫০৪, ফাতওয়ায়েআলমগীরি-/৭৩].ফিক্বহে শাফেয়ীঃ- ইমাম শাফেয়ী (রহমাতুল্লাহি লাই) বলেন-আল্লাহ পাক মহিলাদের কে পুরো পুরি পর্দায় থাকার শিক্ষা দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনুরুপ শিক্ষা দিয়েছেন তাই আমার নিকট পছন্দনীয় হল, সিজদা অবস্থায় মহিলারা এক অঙ্গেঁর সাথে অপর অঙ্গঁকে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং সিজদা এমন ভাবে করবে যাতে সতরের অধিক হেফাযত হয় (যাখীরা, ইমাম কারাফী /১৯৩).ফিক্বহে হাম্বালীঃ- তাকবীরে মহিলাদের হাত উঠানোর সম্পর্কে ইমাম আহমাদ (রহমাতুল্লাহি লাই) বলেন হাত তুলনামুলক কম উঠাবে 
[আল মুগনী -/১৩৯].
কিছু স্বল্পজ্ঞানী পথভ্রষ্টরা সাধারণ মহিলাদের কথা বলে ধোকা দেয় যে, বুখারী শরীফে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- SWALLU KAMA RA AI TUMUNI USWALLI অর্থ: নামাজ পড় যেভাবে আমাকে দেখেছো এখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নারী-পুরুষ সবাইকেই তাঁর মতো নামায আদায় করতে বলেছেন, নারী-পুরুষ ভিন্ন ভিন্ন নয় আমি বলছি তাকে প্রশ্ন করুন, সে কি নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামায নিজ চোখে দেখেছে? নিশ্চই দেখেনি তাহলে সে কিভাবে নামায পড়ছে? নি:সন্দেহে ইমাম মুহাদ্দীসগণকে অনুসরণ করে তাকে বলুন, যেইমাম মুহাদ্দীসগণকে অনুসরণ করে তুমি নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মতো নামায পেয়েছো, সেই ইমাম মুহাদ্দীসগণই নারী পুরুষের নামায ভিন্ন ভিন্ন বলেছেন যা উপরোক্ত হাদীসগুলি দ্বারা প্রমাণিত. পর্যন্ত হাদীস, আসারে সাহাবা, আসারে তাবেয়ীন মাযহাবের ইমামগণের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আলোকে কথা সুস্পষ্ট হল যে, পুরুষ মহিলার নামাযের অভিন্ন পদ্ধতির পক্ষে কথা বলা আল্লাহ তালার মনোনীত ধর্ম ইসলামের মাঝে নিজেকে সংস্কার পন্থী রুপে আবিস্কার করার অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছুই নয় আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন (আমিন)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.