গেইলের তাণ্ডব, অসহায় ঢাকা


ঢাকা: গেইল ক্রিজে থাকলে উপমহাদেশের অধিনায়করা স্পিন দিয়ে আক্রমণ করতে ভালোবাসে। সাকিব বিপিএল ফাইনালে সেটা তো করলেনই, সঙ্গে সেই আক্রমণটা আট ওভার পর্যন্ত স্থায়ী করলেন। ঢাকা ডায়নামাইটসের এমন স্পিনবূহ্যও আটকাতে পারেনি কুমিল্লাকে। গেইলের ১৪৬ রানে ভর করে তারা ঢাকা ডায়নামাইটসকে ২০৭ রানের টার্গেট দিলো রংপুর রাইডার্স।

যতক্ষণ স্পিনাররা আক্রমণে ছিলেন, ততক্ষণ গেইল, ম্যাককালাম বেশি নড়াচড়া করেননি। প্রথম আট ওভারে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান চার্লসের (৩) উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তোলে দলটি। এই সময়ে গেইল একবার জীবনও পান। ২২ রানে থাকার সময় ষষ্ট ওভারে অধিনায়ক সাকিব কাভারে তার ক্যাচ ছাড়েন।
 
গেইল জীবন পেলে কী হয়, তা সারা পৃথিবী জানে। মিরপুর জানল আরেকবার। ঢাকা ডুবেছে মূলত ওই গেইলভীতিতে। না হলে ১৫তম ওভারে আবু হায়দার ওভাবে আরেকবার গেইলকে জীবন দিতে পারেন না। এবার গেইল ৭৮ রান তুলে দানবীয় চেহারায়। আবু হায়দার স্লোয়ার কাটার মারলেন। গেইল ভুলও করেন। বড় শট খেলতে যেয়ে টাইমিং হারান। অন্য দুই ফিল্ডারকে সরে যেতে ইশারা করে আবু হায়দার নিজেই বলের নিচে যান। তাতে মনোযোগ হারান। হারান গেইলকে ফেরানোর সুযোগও।

ওই গেইল এই আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ৫৭ বলে। ১১টি ছয় আর চারটি চারে শতক স্পর্শ করেন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ১৮টি ছয় আর পাঁচটিটি চার মেরে অপরাজিত থাকেন। এটি বিপিএলে গেইলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। প্রথম আসরে দুটি ও দ্বিতীয় আসরে একটি শতক হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। পরের বছর হাঁকান আরও একটি। গত দুই আসরে সেঞ্চুরি পাননি। এবার এলিমিনেটর ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরি পান।

বিপিএলে এটি গেইলের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১১৪ রানের। যেটিতে বিপিএলের আগের সর্বোচ্চ ১২টি ছক্কা হাঁকান। এদিন বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের নিজের রেকর্ড আবার ভাঙলেন। এলিমিনেটর ম্যাচে তারা করা ১২৬ ছিল বিপিএলের আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ছক্কার রেকর্ডও গড়েছেন গেইল। আগে বিপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ছয় ছিল গেইলেরই ১৪টি।

গেইলের এমন তাণ্ডবের দিনে ম্যাককালামও বসে থাকেননি। ৪৩ বলে ৫১ করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.