বাংলাদেশের সেরা দ্বীপ সেন্টমার্টিন ঘুরে আসুন
সেন্টমার্টিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমারের উপকূল হতে আট কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত।
সেন্টমার্টিনে প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায়। এতো নারিকেলের জন্য স্থানীয়রা সেন্টামার্টিনকে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলে।
কথিত রয়েছে, আরব বণিকেরা এই জায়গার নাম দিয়েছিল জাজিরা। পরবর্তীকালে জাজিরা স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে খ্যাত হয়ে ওঠে। কিন্তু পরবর্তীকালে ইংরেজরা একে সেন্টমার্টিন নামে অভিহিত করে।
যা দেখবেন
এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা, যা জোয়ারে তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫.৬৩ কিলোমিটার লম্বা। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ৭০০ মিটার, আবার কোথাও ২০০ মিটার।
এখানে রয়েছে ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর এবং ১২০ প্রজাতির পাখি।
এছাড়াও অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া। সন্ন্যাসী শিল কাঁকড়া লবস্টার ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল কোরাল, রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ ইত্যাদি। দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোঁপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছও আছে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে করে কক্সবাজার যেতে হবে। কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে টেকনাফ ও পরে ট্রলার কিংবা জাহাজে করে যেতে হবে সেন্টমার্টিন।

কোন মন্তব্য নেই