আগামী সপ্তাহে মিয়ানমারে যাচ্ছে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি দল
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে সফররত ইউএনএইচসিআরের ডেপুটি হাই-কমিশনার কেলি ক্লেমেন্টস একথা বলেন। তিনি আরও জানান, চুক্তিতে ইউএনএইচসিআরের অবস্থান সুস্পষ্ট না থাকায় বাধার সম্মুখীন হতে পারে সংস্থাটি।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে চলমান সমস্যার সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সফররত ইউএনএইচসিআরের ডেপুটি হাই-কমিশনার কেলি টি ক্লেমেন্টস। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের নতুন জীবন দিয়েছে বাংলাদেশ।’
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি হাই-কমিশনার আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিতে সহায়ক সংস্থা হিসেবে ইউএনএইচসিআরের উল্লেখ থাকলেও, সংস্থার কাজ কি হবে তার সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই। ফলে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ইউএনএইচসিআরের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন কেলি ক্লেমেন্টস।
প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআরের ভূমিকা ও কার্যবিধি সুস্পষ্ট না হলে ৯২-এর বাংলাদেশ-মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তির মতই অকার্যকর থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তা কেলি ক্লেমেন্টস। আর এজন্য নিজেদের ভূমিকা সুস্পষ্ট করতে আগামী সপ্তাহে মিয়ানমারে যাচ্ছে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি দল।
সব কিছু চুক্তি অনুযায়ী হলে আগামী ফেব্র“য়ারি নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী কেলি ক্লেমেন্টস।

কোন মন্তব্য নেই